স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে ৬টি মজার উপায়

প্রকাশঃ আগস্ট ১০, ২০১৫ সময়ঃ ৭:০৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৫০ পূর্বাহ্ণ

human-mamoryমনে করার চেষ্টা করুন তো- ২য় শ্রেণীতে পড়ার সময়কার আপনার কোন শিক্ষকের নাম। কি, মনে পড়ছে না? এবার চেষ্টা করুন- গতরাতে কি খেয়েছেন? হয়তো তাও মনে পড়ছে না আপনার। যদি তাই হয়ে থাকে, তবে তা একেবারে স্বাভাবিক। বয়স বাড়ার সাথে সাথেই দীর্ঘ ও স্বল্প মেয়াদী স্মৃতি দুর্বল হতে থাকে।

তবে নিউরোসায়েন্টিস্টরা স্মৃতি হারানর কারণ সম্পর্কে যত জেনেছেন, ততই উদ্ভাবন করছেন স্মৃতি হ্রাসের প্রক্রিয়াকে মন্থর করার নানান কৌশল। এমনকি স্মৃতি কিভাবে পুনরুদ্ধার করা যায়, তা নিয়েও তাদের চেষ্টা রয়েছে অব্যাহত। এই ধোঁয়াটে হয়ে যাওয়া স্মৃতিশক্তিকে সহজেই তাজা করে ফেলতে পারেন আপনি। তা করতে কঠিন কোনো থেরাপির প্রয়োজন নেই।

 

মজাদার কিছু কৌশলেই নিজের স্মৃতিশক্তি ঝালিয়ে নিতে পারেন আপনি আপনার নিজেকেও

১) সুগন্ধি রোজমেরি :

২০০৩ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, সুগন্ধি মানুষের স্মৃতি প্রখর করতে সাহায্য করে। ১৪৪ জন স্বেচ্ছাসেবীকে ছোট একটি ঘরে বসে অনেকগুলো কাজ করতে দেওয়া হয়। কেউ কেউ গন্ধমুক্ত ঘরে কাজ করেন। কেউ আবার রোজমেরি তেলের সুগন্ধওয়ালা ঘরে কাজ করেন, কেউ ল্যাভেন্ডার তেলের সুগন্ধওয়ালা ঘরে কাজ করেন। যারা রোজমেরির সুগন্ধের মাঝে কাজ করেন তাদের স্মৃতি ভালো হতে দেখা যায়। আবার ল্যাভেন্ডারের গন্ধের মাঝে মানুষের স্মৃতি ভালো হবার পরিবর্তে খারাপ হতে দেখা যায়। এর জন্য আপনি রোজমেরি এসেনশিয়াল তেলে তুলো ভিজিয়ে কব্জিতে ঘষে নিতে পারেন। এই সুগন্ধি সারাদিন আপনার স্মৃতি ভালো রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এই তুলো রেখে দিতে পারেন নিজের ব্যাগে। শুকনো রোজমেরিও ব্যাগের এক কোনায় রেখে দিতে পারেন।

২) মস্তিষ্কের খাবার :

মস্তিষ্ক সুস্থ থাকলে স্মৃতিও ভালো থাকবে। এ কারণে মস্তিষ্কের জন্য কিছু বিশেষ খাবার খাওয়া দরকারি। যেসব খাবারে অ্যান্টিঅক্সাইড বেশি যেমন ব্লুবেরি, আপেল, কলা, গাড় সবুজ সবজি, রসুন এবং গাজর এ জন্য দরকারি। এসব খেলে রোধ করা যায় মস্তিষ্কের কোষের অকালমৃত্যু। এ ছাড়াও খাওয়া যেতে পারে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার। আর অদ্ভুত হলেও সত্যি যে, মস্তিষ্কের জন্য চকলেটও খুব কার্যকরী।

৩) চুইং গাম :

গবেষণায় দেখা যায়, চুইং গাম চিবানোর ফলে স্মৃতি ভালো হয়। সম্ভবত চুইং গাম চিবানোর ফলে শরীর খাদ্য গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে এবং ইনসুলিন নিঃসরণ করে যার ফলে স্মৃতি শাণিত হয়। অথবা চিবানোর ফলে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাবার ফলে মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে। কারণ যেটাই হোক, এতে মস্তিষ্কের উপকার বই অপকার হয় না।

৪) মস্তিষ্কের ব্যায়াম :

মস্তিষ্কও শরীরের একটি অঙ্গ এবং এরও মাঝে মাঝে ব্যায়াম দরকার। বর্তমানে “ব্রেইন ফিটনেস” ঠিক রাখার জন্য ইন্টারনেটে বিভিন্ন গেমস দেখতে পাওয়া যায়। এসব গেমস অনুশীলনের মাধ্যমে আপনিও স্মৃতি ঝালিয়ে তুলতে পারেন। আর দৈনিক পত্রিকায় সুডোকু এবং শব্দজটের মতো খেলাগুলো তো আছেই। এগুলোও আপনার কাজে লাগতে পারে।

৫) পরিমিত ঘুম :

আমাদের শরীর ঘুমিয়ে গেলেও মস্তিষ্ক কিন্তু পুরোপুরি ঘুমায় না। সারাদিনের স্মৃতি তখন গোছানোর সুযোগ পায় আমাদের মস্তিষ্ক। এতে প্রয়োজনীয় ব্যাপারগুলো স্মৃতিতে ধরে রাখা সহজ হয়। আর এক রাত্রেরও ঘুম যদি বাদ পড়ে তবে আপনার এই স্মৃতিগুলো গোছানো হয় না, এরা এলোমেলো হয়ে হারিয়ে যেতে পারে।

৬) শরীর রাখুন ফিট :

নিয়মিত ব্যায়ামে শুধু শরীরই পেশীবহুল হয়ে ওঠে না বরং মস্তিষ্কেরও উপকার হয়। বয়সের সাথে মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যায়। কিন্তু যারা নিয়মিত হাঁটাচলা এবং ব্যায়াম করেন তাদের মস্তিষ্ক অন্যান্যদের তুলনায় বেশি সক্রিয় থাকতে দেখা যায়।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/তাফসির

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G